আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন -২০২৬ ফেব্রুয়ারীতে মাসে সামনে রেখে বিএনপি সারা দেশের ২৩৭টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। রবিবার (৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় রাজধানীতে দলের গুলশান কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে এই তালিকা প্রকাশ করেন। আর এই ঘোষণার পর নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে রাজনীতিতে সৃষ্টি হয়েছে এক আনন্দঘন আলোড়ন,কার নোয়াখালী ৫ আসন (কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট) বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের পরিশ্রমী, জনপ্রিয় ও তরুণমনা ব্যবসায়ী–সংগঠক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।তিনি সুপরিচিত শিল্প উদ্যোক্তা, এ ছাড়াও তিনি মেট্রোহোমসের মালিক এবং ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান। বহু বছর ধরে তিনি,
দলের দুঃসময়ে,নীরবে-নিভৃতে,নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন, অসহায়দের সহায়তা করেছেন, আর উন্নয়ন ও মানবতার কাজে রেখেছেন দৃশ্যমান ভূমিকা।
মনোনয়ন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের রাজনীতিতে যেন বইতে শুরু করেছে নির্বাচনের উৎসবের হাওয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থক অভিনন্দন জানাচ্ছেন এই প্রার্থীকে। বিভিন্ন পোস্টে তাঁরা লিখেছেন, “যোগ্য নেতৃত্বের জয় হোক”, “দল পেলো একজন সাহসী সৈনিক” — এমন মন্তব্যে ভরে উঠেছে স্থানীয় ফেসবুক পেজ ও গ্রুপগুলো।
গত কয়েক মাসে আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম নিজেকে একজন সক্রিয় ও জনগণের সঙ্গে মিশে থাকা প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তরুণদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছেন, এবং চরহাজারী, চরপার্বতী ও সিরাজপুর ইউনিয়নে নারী সমাবেশে অংশ নিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। স্থানীয় ধর্মীয় ও সামাজিক ব্যক্তিত্বদেরও তিনি পাশে পেয়েছেন—ইমাম, খতিব ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সমাজের নৈতিক পুনর্জাগরণের বার্তা দিয়েছেন।
শুধু রাজনীতি নয়, মানবসেবাতেও তিনি অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন। সম্প্রতি তিনি ৫০০ জনের বেশি অসহায় মানুষকে উপহার সামগ্রী প্রদান করেছেন, এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মণ্ডপগুলো ঘুরে দেখেন, অনুদান দেন—যা সামাজিক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে আলোচিত হয়েছে।স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী, যিনি অতীতে মামলায়-হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সহায়তা করেছেন। তাঁদের ভাষায়, “উনি যোগ্য, পরিশ্রমী এবং দলের প্রতি নিবেদিত—উনি নমিনেশাজনগণের আস্থা ফিরবে।”তবে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অতীতে আলোচনায় ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা—কেন্দ্রীয় নেতা বজলুল করিম চৌধুরীর আবেদ, প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী হাসনা জসিম মওদুদ, জেদ্দা বিএনপি নেতা কিসমত উল্লাহ সিআইপি, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল আফসার বাহাদুর, আইনজীবী পারভীন কাউসার মুন্নী ও নোয়াখালী বিএনপি নেতা গোলাম হায়দার বিএসসি। ফলে কে হবেন এই আসনের কান্ডারী—এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত দলের মনোনয়ন যখন ফখরুল ইসলামের হাতে এলো, তখন ভেদাভেদ ভুলে নেতাকর্মীরা এক কণ্ঠে বলেন,
“দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমরা তাঁর পাশে — ঐক্যবদ্ধ বিএনপি আবার মাঠে ফিরবে।”
এই মনোনয়ন কেবল একজন প্রার্থীর নয়, বরং একটি নতুন প্রত্যাশার প্রতীক—
নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ মাঠে বিএনপির নতুন প্রেরণা, নতুন জাগরণ।